Posts

পুতুলের বিয়ে

Image
  মোঃ শহীদ হোসেন হৃদয় জান্নাত বুড়ির পুতুলের বিয়ে, তাই, বুড়ির নেইতো ঘুম! বুড়ির ঘরে বাজে ঢোল, টাক ডুম টাক ডুম। আজ পুতুলের গায়ে হলুদ, কাল পুতুলের বিয়ে। বুড়ির পুতুল নিয়ে যাবে, টোপর মাথায় দিয়ে। খাওয়া হলো, দাওয়া হলো, সবাই বললো চল! সখের পুতুল যাবে চলে, বুড়ির চোখে জল। মনটা তার বড়ই খারাপ, শূন্য বুড়ির ঘর। পুতুলকে কি রাখবে সুখে, পুতুলের প্রিয় বর? দিন যে বুড়ির আর কাটেনা, একলা প্রহর গুনে। অনেকদিন হয় নি কথা, প্রিয় পুতুলের সনে।

বুড়ি

Image
মোঃ শহীদ হোসেন হৃদয়ঃ- বুড়ি তোমার নাম কি বলো, কোথায় তোমার বাসা? কোথায় তোমার বাচ্চা গুলো, রং বে-রঙ্গে ঠাঁসা। কোথায় তুমি হাসো, নাচো কোথায় তুমি গাও? কোন দেশেতে স্বপ্ন আঁকো কোথায় তোমার গাঁও। যাবে তুমি আমায় নিয়ে তোমার সোনার দেশে। তোমার ছোট বাচ্চা গুলো দেখবো হেসে হেসে। মন্ডা মিঠাই নিয়ে যাবো আরোও কত কি! চাইলে তোমায় আরও দেবো মিষ্টি স্বাদের ঘি! হাসবো আমি, নাচবো গেয়ে বুড্ডা বুড়ির সাথে, সবাই মিলে ঘুম পাড়াবো চাঁদনী ধোয়া রাতে।

অনন্যাদের জীবন

Image
মোঃ শহীদ হোসেন হৃদয়ঃ- বাসটা টার্মিনালে পৌঁছানোর ঠিক কিছুক্ষণ আগেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হলো। অসময়ে বৃষ্টি সঙ্গে ছাতাও নেই। সঙ্গে ছাতা নেবার মানুষ আমি না। ব্যাগটা মাথার উপর দিয়ে মাথা বাঁচিয়ে কোনো ভাবে বাস টার্মিনালে ঢুকবো, সাথে সাথে দেবদূতের মত এক রিক্সা এসে হাজির। কাটায়খানা যাবে? যাবো ৩০টাকা লাগবে। আমিও কোনো কথা না পেঁচিয়ে সোজা উঠে পরলাম। আমি অবশ্য রিক্সাওয়ালাদের সাথে কৌতুক না করে উঠি না। এবার বৃষ্টি নিয়ম বদলালো। একবার কি হলো আমি মজমপুর থেকে সরকারি কলেজ এ যাবো বেশকিছু রিক্সা আমায় ডেকে বলে কই যাবেন মামা। আমিও ঠিকানা বলি ভাড়া জিজ্ঞাস করি। কেউ বলে ৩০টাকা, কেউ চাইলো ২৫টাকা, কেউ বলে ২০টাকা। আমি ২০টাকার জনকে নিয়ে গন্তব্যে পৌছাই। আর তাকে সর্বোচ্চ ভাড়াটা ৩০টাকা দেই। এতে সে খুশি হয়ে মনখোলা দোয়া করে দেয়। বড় আন্টির বাড়িতে বিশেষ কারণে নিমন্ত্রণ। দুই ছেলে তার। নানান কাজে ব্যস্ত থাকে। শহরের বাহিরে থাকে। আঙ্কেল হাঁপানী রুগী। সামান্য ঠান্ডায় হাসপাতালে ছুটতে হয়। অতএব পাহারা দেবে কে? বাড়ির ব্যাচেলর ছেলে। তাই পাহারাদারি আমাকেই করতে হবে। বাসে ১ ঘন্টার পথ। রাস্তা প্রচন্ড ভাঙার কারনে ২ ঘন্টা লাগল

রাত ৩টা বেজে ৪৫ মিনিট

Image
মোঃ শহীদ হোসেন হৃদয়:-  হঠাৎ ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো, ডিপ লাইটের আলোয় আবসা দেখা যাচ্ছে না। প্রথমে জানালাটা বন্ধ করে দিলো। ঘড়িতে কয়টা বাজে ভাল করে দেখা যাচ্ছে না তাই লাইট জ্বালিয়ে দেখলো রাসেল, রাত ০৩ টা ৫৫ মিনিট। আজ রাসেল একা বাসায়। বাসার সবাই গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছে। রাসেল এবার এস,এস,সি দেবে ঢাকা কলেজ থেকে। লেখাপড়ার চাপ তাই গ্রামের বাড়ীতে যাওয়া হয়নি। আজ রাত ১ টায় বই এর পাতায় থেকে চোখ সরিয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলো। রান্না ঘরে গিয়ে পানি পান করলো।বাথরুম সেরে আবার ঘুমাতে যাবে, তখনই খেয়াল করলো তার ছাদের ফ্যানে কলেজ বন্ধু রাহুল ঝুলতেছে গলায় ফাঁস লাগানো। রাসেল বসে পড়লো এই কি হলো রাহুল এখানে আর ফাঁস কেন লাগালো? কখন লাগালো বা কেন লাগালো? এই সব ভাবার সময়ও যেন পাচ্ছে না,  কি করবে ভাবতে পারছেনা। রাহুলের পা ধরে উপরের দিকে ধরে রাখার চেষ্টা করতেছে, আর চিৎকার করতে লাগলো বাসায় কেউ নেই তাই তার শব্দ কেউ শুনতে পারছে না। গলা শুকিয়ে গেছে। অনুভব করলো রাহুল আর বেঁচে নেই। বাসায় একা সে,  কি করবে!  কোনো রকমে চেয়ারের উপর উঠে রাহুলের গলা থেকে রশিটা খুলতেই রাহুল নিচে পরে গেলো। রাসেল পাশে বসে দেখতেছে নাক কান থেকে রক্ত

শুভ জন্মদিন সুবন্যা

Image
ভোরের আলোয় দেখছো তুমি নতুন এক সকাল, একরাশ সাদা গোলাপের শুভেচ্ছা রবে ভালবাসা চিরকাল। মনে কর উনিশ বছর পূর্বে, ছিলে তুমি মাতৃগর্ভে। রক্ত-মাংস আহার করে, ভূমিষ্ঠ হলে এই মর্তে। আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা, সবুজ-শ্যামলে কিছু স্বপ্ন বোনা। পাখির কন্ঠে হাজার সুরের মেলা, আগমন তোমার ভাসিয়ে সুখের ভেলা। এসেছিলে তুমি সেদিন,ব্যস্ত এই ভূবনে, জীবনের শুরুটাও করেছিলে এ দিনে। সেই থেকে আজও চলেছো যুগের তালে, সর্বদা থাকো তুমি সু-খেয়ালে। জীবনের ডায়রীতে কিছু রেখ তুলে, সেদিনের কিছু কথা গেলাম আমি বলে। ভুলবশত, ভুলবো না কোনোদিন, সুবন্যা, আজ তোমার শুভ জন্মদিন। [ কবিতাটি আমার প্রিয়তম সুবন্যাকে উৎসর্গ করে লেখা। তার জন্ম তারিখ ২৫/০৪/১৯৯৯]

বৈশাখী রঙ

Image
হে বৈশাখ আবার তুমি ফিরে এলে, অনেক সে প্রতীক্ষার পর। পুরাতন বছরের স্মৃতিগুলো ফেলে, কি দেবে এবার মনোহর ? বৈশাখী রঙের কত না শাড়ীর ভিড়ে, বাজছে কত কাঁচের চুড়ি; কৃষ্ণচূড়া লালে চারিদিক শুধু লাল, সর্বত্র উল্লাসে গেছে ভরি।   নাচে গায় বৈশাখী রঙে পরীর দল, হাতে বৈশাখীর ফুল ঢালা; ভুবন মাতানো সুরে নাচে ধরাতল, তোমার গলায় পড়াবে মালা। সকলের মনে আজ যে দারুণ হর্ষ, শুভ হোক নতুন বছর; পৃথিবীর কোন প্রাণ,না হোক বিমর্ষ, সুখী হতে প্রতিটা প্রহর। বাংলার গ্রামে গঞ্জে শহরে বন্দরে, হচ্ছে আজ বৈশাখী মেলা; লাখো মানুষের ঢল,শুধু চোখে পড়ে, নাচ গান আর কত শিল্প কলা। মেলাতে মিলে কচিদের কত খেলনা, রঙিন তালের হাত পাখা; গ্রাম বাংলার নানা মিষ্টান্ন কত না, হয় কোলাকুলি স্নেহ মাখা। পাগলা বাতাসের দোলায় চারিদিক, আনন্দ প্লাবণে যায় ভাসি; ইলিশ আর পান্তা খাওয়ার হিড়িক, মুখে সবার অঢেল হাসি। হে বৈশাখ,দিয়ো না আজ ঝড়ের হাঁক, ঢেলে দাও সর্বত্র প্রেম; মৃদু হাসিতে দুষ্টুমি মাখা দুটো আঁখি, তুমিই প্রিয়, তুমি সর্বোত্তম।

রুপসী সুবন্যা

Image
হাজার রমনীর ভিড়ে, তুমি এক অনন্যা। শত সুন্দরীর ভিড়ে তুমি রূপসী হে সুবন্যা। তোমার মুখ ভার হলে, আকাশে জমে মেঘ। তোমার চোখে জল এলে, ঝড়ে পরে আবেগ। সূর্য ভুলে যায় তেজ, দেখে তোমার হাসি। রৌদ্র হয়ে যায় মলিন, যখন থাকো খুশি। স্বপ্ন বুনে যায় চাঁদ, তোমার টানা চোখে। ভালোবাসা মায়ার ফাঁদ , পাগল করা মুখে। ভালোলাগা আছে যত, ঠোটের বাঁকে দোলে। পৃথিবী থমকে যায়, গোমড়া তুমি হলে।

অভিশপ্ত ভালোবাসা

Image
আজ ৩ দিন হয়ে গেল সুবন্যার সাথে ডিভোর্স হয়েছে হৃদয়ের। কোন যোগাযোগ নেই একজনের সাথে আরেকজনের। দুই জন দুই দিকে। অথচ এই দুই জনই এক সময় উত্তল সঙ্গমে কাটিয়েছে কতশত রাত। ৫ বছর এক সাথে থাকার পর কি যেন মনে হলো, সুবন্যা হৃদয়কে ছেড়ে চলে যায়। প্রেম করে বিয়ে করেছিলো হৃদয় আর সুবন্যা। শপথ করেছিলো এক সাথে থাকবে দুজন সারাজীবন। এক মেলায় প্রথম দেখে হৃদয় সুবন্যাকে। হৃদয় ঢাকা থেকে গ্রামে আসে ছুটিতে। দেখে ভালোলাগে সুবন্যাকে হৃদয়ের। তারপর  হৃদয় সুবন্যাকে প্রোপোজ করে। গ্রামের মেয়ে সুবন্যা। প্রোপোজে সুবন্যাা রাজি হয়। হৃদয় একটা দোকানের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতো। আর সুবন্যাা ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়তো। ওদের ফ্যামিলি অবস্থাও সুবিধার ছিলোনা। তাই সুবন্যার সাথে হৃদয়েরর বিয়ে দিয়ে দেয় সুবন্যার বাবা-মা। দুই জনে একটা ছোট বাসা নিয়ে থাকতে শুরু করে ঢাকা শহরে। ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন ছিলো সুবন্যা ডাক্তার হবে। আর হৃদয়ও সুবন্যাকে অনেক ভালোবাসতো তাই হৃদয় সুবন্যাকে নিজে কষ্ট করে হলেও পড়াতে থাকে। ইন্টারে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছিলো সুবন্যা। হৃদয় সুবন্যাকে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে দেয় Hsc তে ভালো রেজাল্ট করার জন্য। ভালো রেজাল্ট করতে হব

ভালোবাসা মানে

Image
ভালবাসা মানে দুটি হৃদয়ের ব্যকুলতা, ভালবাসা মানে প্রতি মূহুর্তের অস্থিরতা। ভালবাসা মানে কাছে পাবার বাসনা, ভালবাসা মানে বুকে জমাট বাধা বেদনা। ভালবাসা মানে পরকে আপন করে নেয়া, ভালবাসা মানে আপনকে পর করে দেয়া। ভালবাসা মানে কিছু লোকের ধিক্কার, ভালবাসা মানে নতুন জীবনের অঙ্গীকার। ভালবাসা মানে নয়নের বারিধারা, ভালবাসা মানে মাঝে মাঝে দিশাহারা। ভালবাসা মানে রাত জেগে জেগে থাকা, ভালবাসা মানে মনে কষ্ট জমা রাখা। ভালবাসা মানে সংসার করিবার অভিলাষ, ভালবাসা মানে ভবিষ্যৎ জীবনের প্রবাস। ভালবাসা মানে সময়ের মূল্য ভুলে যাওয়া ভালবাসা মানে অধির আগ্রহে পথ চাওয়া। ভালবাসা মানে জেগে ওঠা নতুন প্রাণ, ভালবাসা মানে মধুর কণ্ঠে গাওয়া গান। ভালবাসা মানে সবকিছু তুচ্ছ করা, ভালবাসা মানে একাকী জীবন গড়া। ভালবাসা মানে ছল করে দেখা এক চাহনী, ভালবাসা মানে শ্রদ্ধাবোধের আগমনী। ভালবাসা মানে রক্ত দিয়ে লেখা কোন নাম, ভালবাসা মানে অন্ধ ভাবে করা প্রনাম। ভালবাসা মানে গৃহ ত্যাগে ছুটে চলা, ভালবাসা মানে বিরতিহীন কথা বলা। ভালবাসা মানে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয়া, ভালবাসা মানে জীবনকে বিসর্জন দেয়া। ভালবাসা মানে নতুন নত

এবার জয় হবেই

Image
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাসে যে পরিমান বির্য নির্গত করে তাতে ২০-৩০ কোটি স্পার্ম নির্গত হয়,( স্থান পেলে ২০-৩০ কোটি বাচ্চা তৈরি  হতো) এই ২০-৩০ কোটি স্পার্ম, মায়ের ওভামের দিকে পাগলের মত ছুটতে ছুটতে পৌঁছায় ৩০০-৫০০ মাত্র, আর বাকিরা এই "ছুটে চলার" দৌড়ে ক্লান্ত, শ্রান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়, বিলীন হয়ে যায়। এই ৩০০-৫০০ স্পার্ম, যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে তাদের মধ্যে মাত্র একটি,মহা শক্তিশালী স্পার্ম ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে, সেই ভাগ্যবান স্পার্মটি হচ্ছেন আপনি কিংবা আমি-অথবা আমরা সবাই কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন? আপনি তখন দৌড়েছিলেন, যখন আপনার চোখ,হাত পা মাথা ছিল না! তবু আপনি জিতেছিলেন। আপনি তখন দৌড়েছিলেন, যখন আপনার কোন সার্টিফিকেট ছিল না! মস্তিষ্ক ছিল না, তবুও আপনি জিতেছিলেন। আপনি তখন দৌড়েছিলেন, যখন আপনার কোন শিক্ষা ছিল না, দৌড়েছিলেন কারও সাহায্য ছাড়া, শুধু ছিলেন মহান আল্লাহতালা এবং আপনি জিতেছিলেন। আপনি তখন দৌড়ছিলেন, যখন আপনার একটি গন্তব্য ছিল এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র